Sunday, January 13, 2019

Of life and acceleration due to love

অনন্ত নক্ষত্রমালার দিকে তাকিয়ে সন্দীপ টাইম ট্রাভেলে কফি শপ সম্ভাবনার কথা ভাবছিল। এমন বিশাল পরিষ্কার আকাশের এই প্রাচীন নিস্তব্ধতা কখনও তরঙ্গাকারে আবার কখনও প্যাকেটে প্যাকেটে পরিবেশন করা হয়ে চলেছে আমাদের হাঁ করে থাকা শিশুপাখির অসীম কৌতূহলে। নানা রঙের উল বোনা সন্ধেগুলো পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল এ গলি ও গলি দিয়ে যেন আসলে সে রাস্তা হারিয়ে ফেলা ছাত্র।
ছাত্র বলতে মনে পড়ে, ছোট হয়ে আসা চক আর লিনিয়ার মোশন। যা কিছু মৃত, তা থেমে আছে Space-এ। Time-এর সঙ্গে হয়ত চলেছে সেও কিন্তু তার গতি নেই। সময় থামিয়ে দিতে পারে এমন সুগন্ধ সন্দীপ কোনো এয়ারপোর্টে খুঁজে পায়নি। শুধু কবিদের লেখায় পড়েছে, কিছু কিছু হাসিতে বা কান্নায় থামানো যেতে পারে সময় কিন্তু স্কেপ্টিক-রা এত সহজে কিছু বিশ্বাস করতে চায় না। সন্দীপ ফিরে আসে বাস্তবে, জীবনে। জীবন মানেই গতি তবে uniform velocity motion। চলন্ত ট্রেনে উপর দিকে বল ছুঁড়ে দেখে সন্দীপ, বল ফিরে আসে নিজের হাতেই যদি ট্রেনের গতি থাকে uniform। জীবন-ও ছুটে চলে, একঘেয়ে প্রতি সকালের পাউরুটি মাখনের মতো, যেন ছুটতে বলেছে তাই ছুটছে - constant velocity। থামলেই মৃত্যু। অনন্ত নক্ষত্রমালার দিকে তাকিয়ে সন্দীপ ছুটে চলেছে জীবনের সঙ্গে এক-ই গতিতে। এভাবে চলতে থাকে সবাই আর কেউ কিছু টের পায় না কখন নিভে যাওয়ার সময় এসে চুলে বিলি কেটে চলে যায়। আমরা ততদিনে - comfortably numb
কিন্তু এই বেঁচে থাকার বহু সূত্রের বহু ফর্মুলা লেখার পরেও কিছুই যেন মিলতে চায় না। সন্দীপ টেলিস্কোপের মধ্যে দিয়ে দেখতে থাকে অন্য আকাশে অনুভূতি-রা ঘুরপাক খাচ্ছে, কখনও আতশবাজির মতো ফেটে পড়ছে উল্লাসে। এই আকাশের সন্ধান করতে গিয়েই যেন প্রায় ১০০ বছর আগে আইনস্টাইন, theory of general relativity-র হদিস পান। সন্দীপ বুঝতে পারে, ঠিক যেমন gravity এসে special relativity-কে বদলে দিল, space-time-এ curvature সৃষ্টি করল, আমাদের জীবনে-ও কিছু একটা এসে সব কিছু পাল্টে দিতে পারে। সেটাই ভালবাসা। প্রেম আমাদের জীবনের গতি পাল্টে দিতে পারে। তখন কিন্তু চলন্ত ট্রেনের ভেতর উপর দিকে বল ছুঁড়লে হাতে এসে পড়বে না। একঘেয়ে জীবনের সহজ অঙ্কগুলো বিশাল কঠিন আকার নেবে। Accelerated motion-ই হল প্রেম। Acceleration এমন এক জিনিস যা অনুভব করা যায়। থেমে থাকা লিফট চলতে শুরু করে দিলে হাঁটু কেঁপে ওঠে। চক্রাকারে ঘুরতে থাকা গাড়ির ভেতর মানুষের শরীর বন্ধ দরজায় গিয়ে ধাক্কা মারে। তার মানে আমরা গতি পালটালে আসলে বুঝতে পারি। সেটা বাড়লেও পারি, কমলে-ও পারি।
ওই দূরে ঝাউ বনের সারি। সেখানে উজ্জ্বল কিছু সামুদ্রিক মাছ যেন singularity সন্ধানে উড়ে বেড়ায়। সন্দীপ সেখানে যেতে চায়। বারবার accelerate করতে চায়। ওই তো ওখানেই যেন জীবনের মানে। নাহলে আর কী আছে পৌষের রাতে লেপ গায়ে দিয়ে প্রকৃত ইচ্ছের কাছে বারবার মিথ্যাচারে থুরথুর করতে থাকে প্রত্যেক আঙুল আর ক্রমে থেঁতো হয়ে যায় সমস্ত confidence
অনুপম রায় (১৩/০১/২০১৯)

Monday, December 21, 2015

বালি কারোর পায়ের ছাপ মনে রাখে না



২১ ডিসেম্বর ২০১৫

বালি কারোর পায়ের ছাপ মনে রাখে না

এক মখমল পাথর বেছানো কৈশোর
নিয়ে চলে গেছে সমুদ্র স্রোত,
আমার দুপাশে লেগে ছিল শুধু
ভাঙনের বালি ধূসর যেমন
শুকনো রোদের দানা উড়ে আসে
ধুয়ে দেয় পিছুটান, যার মানে
এখনো কিছুটা গুঁড়োগুঁড়ো ছেলেমানুষি
লাট্টু ঘুরছে অনেকটা সেইসব
বৃত্তের বাইরে আরও অনেক বৃত্ত
আঁকবে বলে। আমরা থেমেছি,
বানিয়েছি বালিগর্ত নরমে একটু থাকব বলে,
তারপর যে যার গতিতে ছেড়ে গেছি
এইসব কিছু কোনদিন ফিরে এলে
আবার দেখব বলে,
কিন্তু পারিনি, পারব না জানতাম -
বালি কারোর পায়ের ছাপ মনে রাখে না।

Thursday, November 19, 2015

আর একদিন তোমাকে দেখতে পাব



১৯ নভেম্বর ২০১৫

আর একদিন তোমাকে দেখতে পাব

আর একদিন তোমাকে দেখতে পাব
তারপর যা কিছু দেখব সব-ই
তোমার চেহারার কাছাকাছি কিন্তু
কোনটাই যেন আসল নয়।

যা কিছু প্লাস্টিক ফ্যানের হাওয়ায়
উড়তে পারে অথচ
আসলে উড়তে বললে উড়তে পারে না
এরকম অনেক মানুষের মুখ
আর ফেসবুক পোস্ট
শীতের সন্ধের মতো দীর্ঘ হতে হতে
কখন-ও প্যাঁচাদের ঘুম থেকে তুলে দেয়।
যা কিছু অবিকল নকলের মতো
সৃজনশীলতার ব্যর্থতায়,
ফ্রাস্ট্রেশনে ছেপে দেওয়া যায়,
বারবার আলোচনাতেও
কিছু প্রমাণ করা যায় না।

প্রয়োজন নেই কিছুর তাই নদীতীরে
দাঁড়ালে, এখনও তোমারই মুখ
মনে পড়ে।
আর একদিন তোমাকে দেখতে পাব
বলে সারারাত ঘুমোতে পারিনি।

Saturday, September 19, 2015

রেকর্ড ২



১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রেকর্ড ২ 

ওরা অকারণ ছবি তোলে
বিনোদনের কোন কারণ লাগে না,
মানুষের খুশী থাকা বেড়ে চলেছে
তাই হাসিমুখে ভরা থাক দেওয়াল আমার।
তাও ধুলোর মতো দুঃখ জমে
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে,
শরীরের কোনখানে লেগে আছে
কালশিটের নাম পাল্টালেও ব্যথা কমে না।

রেকর্ড ১



৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রেকর্ড ১ 

হাল্কা সাদা আলোয়
রেকর্ড করে রাখা সব
অপ্রয়োজনীয় মনে হয় মৃত্যুর কাছে,
জীবনের কাছে অকারণ সময়
জমিয়ে রাখা মেঘে মেঘে
ঢেকে যায় এ পৃথিবীর আকাশ
আর হাঁসফাঁস করে ওঠে ট্রাফিক
আইন মানা সাধারণ।

এই সব মামুলি মেমরি মাখিয়ে
নস্ট্যালজিয়া ল্যাজ নাড়ে প্রত্যেক মেশিনে
আর মেঘ ফেটে যায় তাই
সেলোটেপ, পাসওয়ার্ড হারিয়ে গিয়েও
ফিরে আসে আবার সামনে চলা
সময়-কে ধোঁকা দিয়ে পিছনে হাঁটবে বলে,
ইতিহাস দানাদানা বালিশে ছড়িয়ে রেখে
একমনে তুমি কেঁদো।

যা কিছু ফিরবে না,
তার জন্যই তুমি বাঁচো,
তাতেই শান্তি।
এখন তো চলে গেছে, রেকর্ড করে রেখেছ
আগামীতে দেখবে বলে।