Showing posts with label Mon O Mejaj. Show all posts
Showing posts with label Mon O Mejaj. Show all posts

Sunday, October 20, 2013

ইতিকথা



১৪) ইতিকথা  

কোথা থেকে সংখ্যা আসে এত?
এই রাস্তায় আমি প্রতিদিন আসি না।
আমার ছড়িয়ে যাওয়া দৃশ্যগুলোয়
কিছুটা পাহাড়, অল্প সমুদ্র
আর বাকিটা পাখিদের মতো।
মানুষের পায়ের শব্দে যে পাখি উড়ে যায় না
সন্ধ্যের জন্য ডানা গুটিয়ে রাখে,
এরকম রাস্তায় আমি প্রতিদিন আসি না। 

সিঁড়িতে বসে থাকি তাই পায়ে এসে লাগে ঢেউ,
ক্রমে মনে পড়ে তোমার কোমর।
তোমার সময়ে আমি আসি নি
তাই তোমার কপালের টিপে গেঁথে যাব
সব তারিখ – সংখ্যার মতো,
এখান থেকে অনেক সূর্য দূরে।
তোমার খবর পাই
আলো নেভালে, চোখ বুঁজে এলে।

কাঠের কাজ



১৯ অক্টোবার ২০১৩

১৩) কাঠের কাজ   

অনেক ওপর থেকে,
আমার ছেলেবেলা গুঁড়ো গুঁড়ো
মেঘেদের মতো।
স্টিং-এর ছেলেবেলা জাহাজের মতো
তাই ওনার গানে জাহাজ তৈরীর গন্ধ,
জাহাজ বানানোর সুর আসে
নিউক্যাসল আর তার বন্দরগুলোয়
সি গাল ওড়ে।
নাবিক চুমু খায় শিশুদের কপালে
প্রিয়তম অন্য বন্দরে দেখা হবে রুমাল। 

আমার মনে পড়ে
আমাদের ছুতোর, আমাদের সুখলাল,
কাঠের দরজা, জানলা
আমার প্রতি রবিবারে দেখা যেত তাকে।
বছরের পর বছর
আমি ঘুম থেকে উঠে
শুনতে পেতাম ছুতোরের আওয়াজ,
কাঠের গুঁড়ো গন্ধ,
আমার নৌকা হবে পাল তোলা।

একদিন প্রায় অন্ধ হয়ে যায় সুখলাল,
রেটিনা ঘসে দিয়ে যায় গুঁড়ো
তারপর আর কাজে আসে নি কেউ
তাই আমার কোন নৌকা নেই,
আমার কোন জাহাজ নেই,
আমরা হয় ঘুমোই নয়ত পায়ে হেঁটে ঘুরি।

Sunday, October 06, 2013

ঘর-বাড়ি



৬ অক্টোবার ২০১৩ 

১২) ঘর-বাড়ি 

এখনকার ঘর-বাড়ি
বালির মতো দানা দানা
ছড়িয়ে আছে ...

মেছো বাজার জানে বেহালা তার
সুরে ধরে থাকে
লরি স্টার্ট দেওয়া মোনোটোন
পেট্রল কিংবা ডিজেল।
অনেক ট্রেন যায়
স্টেডিয়াম আলোয়
একপাশে শুয়ে থাকে মাতাল
কোমর থেকে পা পর্যন্ত। 

এখানে ঘর-বাড়ি
আঙুরের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ
প্রতিটা ঘরে
দুটি করে টিউব লাইট
একটি করে মানুষ।
মৃদু ঘামে এসি
আংশিক শীত
বারো মাস জানলা বন্ধ,
আমার রাস্তার কুকুর ডাকে
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে।

যাদের হাত কাঁপে



২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 

১১) যাদের হাত কাঁপে 

ত্রিশূল আঁকছে গোলাপের মৃত হাসি
রক্তে মদে কাটা দাগে
আঘাতে শিশুপাপে
চাকা চাকা মহাশূন্য। 

শুনেছি,
গাছ কেটে ফেলার আগে
তোমাদের হাত কেঁপেছিল।

Thursday, August 22, 2013

চিঠির বদলে মন



২২ আগস্ট ২০১৩

১০) চিঠির বদলে মন

ওই দ্বীপপুঞ্জে তোমার সঙ্গে যাব,
খুব কাছ থেকে
দেখব তোমার ঘুম।
জন্মসূত্রে তোমাকে পেয়েছি
ঈশ্বরসূত্রে পরিচয়,
এমন কিছু আঙুল
গাছের পাতার ছোঁয়া -
এই গ্রীষ্মের রাত,
তোমার দিকেই তাকিয়ে
কেটেছে মেঘ, ফুটেছে তারা। 

জলে সবুজ কেটেছে,
টুকরো টুকরো হয়েছে জমি
আহত মোটর ফিরে গেছে
কোন গ্রিপ পেলো না চাকায়।
আলো ফেলে দেখে গেছে
হেলিকপ্টার উড়েছে পাখায়
ধোঁয়াও কেটেছে, আলেয়ার
পোড়া আগুন।
তুমি শিশুদের মতো উঁচু নাক,
এখানে গলছে একটু একটু করে
চাঁদের আলোর মন। 

সব কিছু যদি গ্রাফিটি পাথরে
আঁকা যেত তুমি দেখতে পারতে
অতিমানবেরও ধুলো মাখা পথে
মৃত্যু লিখলে মৃত্যু হবেই। 

এখানে পাথর ছোট হতে হতে,
যারা কাঁদে এই ফুলে
আমি তাদের কান্না শুনতে পেলাম
তোমার ঘুমের বাইরে,
এগুলো অন্য,
কোন তীব্রতা নেই,
কোন স্মৃতি থাকলেও সেগুলো
কারোর ক্ষতি করবে না,
এখানে পাথর ছোট হতে হতে,
গুঁড়োনীল হয়ে যাবে। 

বাঁধতে চাইলে জোনাকির রঙে বেঁধো,
খরচ হয়ে গেছে অনেক
ঘড়িকাঁটা আর আগস্ট মাসের
কতটুকু বাকি আছে?
তোমার ঘুমে ফিরে
আচমকা গায়ে কাঁটা দেয়
চোখ ভারী লাগে,
আমি সারারাত পাথর ছুঁড়েছি
সমুদ্রে আর অন্ধকারে
হাত ছিঁড়ে গেছে, কাঁধে ব্যথা লেগে আছে।
তুমি কেন কেঁদেছিলে?

স্নিগ্ধ গন্ধ জোরালো তোমার
আনাচে কানাচে
আমি ভুল করি হরমোন,
জেগে গেছ?
বেড়াতে এসেছি, তুমি সোজা হয়ে বসো,
কোনো গাছ, কোনো ফুল
শেষ কথা বলে না।
অতিরিক্তের ছুটি হয়ে গেছে
শুধু মূলধারা স্রোতে
ভিজিয়ে দিচ্ছে চশমার কাচ,
আসল কথাটা গোল টিপ হয়ে
কপালে তোমার
চোরাদাগগুলো কোমরে।
আমাদের বহুতল জীবনের
প্রতিটা ব্যাল্কনি থেকে মাথা নিচু করে দাঁড়াই,
ভালবাসি?
সে তো থেঁতো হয়ে গেছে?

মাছারাঙাদের উড়ানে
সারা গায়ে পালকের কালো দাগ।
আমার চুলে
আগামী ঠান্ডা হাওয়া,
শালের মতো জড়িয়ে ধরেছি একবার,
কাঁপছিল চোখ
ঘুম কেটে গেছে তোমার,
এই দ্বীপে ছটা ঋতু।

চাঁদের আলোয় এক্কা-দোক্কা শব্দে,
বলতেই পারি,
আসল কথাটা,
পাখির খাঁচার মতো শূন্য -
যে কোন জানলা থেকে তোমায় দেখা যায়।