Showing posts with label Poetry. Show all posts
Showing posts with label Poetry. Show all posts

Wednesday, August 17, 2011


১৭ আগস্ট ২০১১

৩১) ইন্ডাকশন
তোমার দাঁতে চাপা পড়ে তোমার নিচের ঠোঁটের অংশ বিশেষ কেমন লাগে তোমায়। আমি আসলে স্পাইরালে ডিসার্টেশনের মতো তোমার প্রেমের থিসিসে নিজেকে জড়াতে থাকি ইন্ডাক্টিভ কয়েল। L( di/dt). রিয়্যাক্টান্সে প্রতিরোধ আর ডি সি তে তুমি আমি শর্ট। ক্যাপাসিটিভ মৃত্যুতে শুধু কথা কাটাকাটি, হাই ফ্রিকুউএন্সিতে কাছাকাছি আসে নইলে সব রিলেশনশিপ স্টেটাস ওপেন। আমি এইসব কারণেই তোমাকে ভালোবাসি।

৩২) এই বলে
এই বলে আমি আর এই মাসে কবিতা লিখব না। এই মাসে আমি বিগত এক শতাব্দীর ক্লান্তি ভুলতে পেরেছি অনেকটাই। অনেক কারণে দোকানে গেলে তোমাকে কিছু কিছু দেখতে পাই অকারণে আমি কত বাক্য রচনা করি তোমাকে পরাবো বলে (এটা বানান ভুল নয়)। সেই ছেপেছে ভূত চেপেছে নামছে না কেউ, কাকিমা দোহাই আপনার পড়বেন না। এবার আমি ঘুমের আগে তোমার চুলে ভেজাই আমার আঙুল আজকে ১০/১০। তুমি এ পাশ ফিরে ঘুমোও।

অনুপম রায়

Monday, August 15, 2011


১৫ আগস্ট ২০১১

৩০) তোমার দিন
আমার প্রেম রিপিট করে আমার প্রত্যেক ঘরের দরজার পেছনে তোমাকে দেখতে পাই। তুমি কেবল পাক খেয়ে খেয়ে পাক্কা সাঁতারু আমার জলে বিভিন্ন উচ্চতা থেকে ডাইভ বিদ্ধ করে গভীরে আমার একাকিত্বের পাথরে হাত রাখো। চুম্বন করো। এত কাছ থেকে তোমার উজ্জ্বলতায় আমি গ্রহহীন স্তব্ধ। এক্সপ্যান্ড করো আমার গোপনে আমার অনেক ভেতরে। সেইভাবে আমার রক্ত দ্বিগুণ হয় তোমার গোপনে আমি কিভাবে চশমা মুছি তোমার জামায়। তোমার দিনে আমার জন্ম হয় আমাদের হাফ দেখা ড্রীম সিকুএন্স। 

অনুপম রায়

Tuesday, August 09, 2011


৯ আগস্ট ২০১১
নোটঃ পরের দুটি কবিতা হয়ত একটু ছ্যাবলা গোছের। আমি ওনাকে এক প্যাসিফিক শ্রদ্ধা করি। সারাদিন ধরে ওনার পাতা উলটে ওনার কাব্যি নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হল তাই। বেশীর ভাগ শব্দই ওনার থেকে ঝাড়া নিজস্ব নয়। বাড়াবাড়ি করে থাকলে ক্ষমা করবেন।

২৮) কবিকে (১)
খালি প্যাঁচা আর চিল ওড়ে জীবনে ফসলে আনন্দে হেমন্তে নরম নারীতে আর নদীতে। আমি লক্ষ্য করি লক্ষ তারা আবার ধানখেত মাঝরাতে জীবনের প্রেমিকা অকুতোভয় জুড়েছেন স্বামীহীন গৃহহীন গান। শুধু ঘাসে বাঙালীতে ক্লান্ত পথিকে গোধূলিতে জোস্নায় জোনাকি কিংবা অন্যান্য ফলে বৃক্ষে আছে আনন্দ। কিন্তু কখন সাতটি তারার তিমিরে কুষ্ঠরোগী হাইড্রান্ট খোলে জল চাটে আর একের পর দৃশ্য বলে আমরা একক আমরা প্রথম তখন মুগ্ধ একাধিকবার।

২৯) কবিকে (২) - সুরঞ্জনা বেশ করেছে
একশোবার কথা বলবে ওই যুবকের সাথে তাতে আপনার কি? আপনার লেঙ্গি আপনি শুধু কলমে আঁকেন বিরহিনীদের ছবি আড়ালে চোখের জল।
(ক) যুবকটি নিশ্চয় পদের অথবা
(খ) সুরঞ্জনার ইচ্ছে অথবা
(গ) সুরঞ্জনা ছকবাজ
(ঘ) অল অফ দি আবাভ
আপনার কিচ্ছু করার নেই। আসুন আমরা পাঁঠার মাংস রান্না করে খাই।

অনুপম রায়

Monday, August 08, 2011


৮ আগস্ট ২০১১
২৭) সব ভালো যার শেষ নাই
আবহাওয়া রাস্তার মতো মোড়ে মোড়ে নাম পালটে ফেলে তোর কথা কেউ ভাবে না। একটি গান তোকে চেয়ে নিজের মতো কিভাবে রঙ পেল দাবার নক্সা। এরপর সব একটা করে চোখের জল জমিয়ে রাত্তিরগুলো ছিঁড়ে খেয়েছে আমাকে মাংসাশী। রক্তশূন্য চোখ দুটো খুব ভেতর থেকে সুন্দর তোর তাকিয়ে থাকা দেখেছি কাছ থেকে। প্রত্যেকটা শিহরণ সত্যি। শিকলে কারোর জন্ম নেই তাই প্রান্তর আর তার গানে আমি তোকে নিয়ে যেতে চাই অনবরত নিঃশ্বাসে তুই আরো সুন্দর আরো বেমানান আরো দাঁড়িকমাহীন দীর্ঘ একটি বাক্য

অনুপম রায়

Sunday, August 07, 2011


৬ আগস্ট ২০১১


২৫) বুড়ো

পাড়ায় ডিসেম্বার আসার অনেক আগে আমরা ঝরে গেছি টিউব ওয়েলের পাশের রাস্তা দিয়ে কোনদিন একা হাঁটতে চেয়ে যেন সারা জীবন জনহীন অডিটোরিয়ামের বাইরে নিজেকে পার্ক করে রেখেছি বিনামূল্যে। আমার ধুলোয় মানুষ খিস্তি আঁকে আর জিওমেট্রি প্র্যাক্টিস করে যায় পলাতক। আমার টিকিট লাগে না, সিগারেট লাগে না, নরম আঙুল লাগে না কেবল জল জমলে ডুবে যায় হাঁটু আর বুকে বুকে দম ফুরোয়। রোদ উঠলে সামনে যেমন নক্সা দেবে তাকে বেছে আমার গায়ের চাদর আমি প্রতি বেলা অজস্র পায়ের আওয়াজে ক্লান্ত। 


২৬) শহর আমরা বাছি না
যে শহরে আমার বাবা-মা স্বামী-স্ত্রী হয়েছিল সেখানে আমার আনাগোনা ধীরে ধীরে কমে এখন আর প্রায় কোন বছরে একবার তাহলে আমার কিছু মনে নেই। আমার বাবা-মা-র বিবাহ বার্ষিকীতে আমার বয়স বাড়ে প্রতি সূর্যতে এক অনু। আমার জন্মের আগে সেই জেনেরেশনের শহর নিশ্চয় রাস্তায় অনেক ফাঁকা আর প্রেমে ছিল গলি প্রচুর কম আলোতে। আমার দেখা এখন সেই মায়ের বিবাহের সানাই বাড়ি এক ভাঙা মাঠ হয়ত বাবা এখানে আসলে এখন দরজা পাবে না চটি বাইরে খুলে রাখার। কিছু নেই তবে ফিরে যেতে কেউ চায় না আরো কিছু ফালতু মিথ্যে প্রজাপতি ওড়া আঙ্গিক ধরা থাক। সেই বিবাহে আমি এসেছি অন্য শহরে অথচ আমি হয়ত ওখানেও থাকতে পারতাম। 

অনুপম রায়

Friday, August 05, 2011


৫ আগস্ট ২০১১

২৩) দৈহিক 

তোমার দেহে আমি নতুন নই। আমার শরীরে তুমি চুম্বক রাখো লহিত কনিকা পোলারাইজড শুধু তোমার মুখের ভেতর। বিশ্রাম জুড়ে কুটিকুটি সব পর্দা ওড়ার মৃত্যু যেমন চটিরা প্রভুর পায়ের মাপের চিহ্ন রাখে নিজের বুকে। আমার উপরে তুমি আর তোমার উপরে আমার বিশ্বাস বড় ভালোবেসে ফেলি তোমার তাকিয়ে ফালা ফালা হয়ে অতিরিক্ত পোশাকের স্তূপে খেয়াল নেই সময়ের প্যাঁচে নিয়মিত আমরা পরাজিত। চলো আর একবার আমরা তোমার আমার ঘাড় বেয়ে নেমে আসি, রিভিশন দি তোমার দেহে যদি কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি থেকে থাকে।

২৪) গ্র্যাফিক
আমাদের সুখে থাকার বিন্দুগুলি জুড়ে নিতে পারলে সময়ের সাথে ক্রমে ইঙ্ক্রিসিং ফাঙ্কশানের রূপ নিতে নিতে গোলমাল হলে ইন্টারপোলেট করে মিথ্যে বিন্দু বসাই। সেই সব বিন্দুগুলি কিউমুলেটিভ আমাদের জড়িয়ে রাখার খবর রাখে একদিন সোজা তাকিয়ে থাকে। আমি কল্পনাহীন মুখোমুখি বিরক্তিকর উর্দ্ধগামী বৃষ্টি বিন্দু শক্ত রাখি চোয়াল আর জুড়ে যাই অনেক অনেক সুখে থাকার দিন।

অনুপম রায়

Friday, July 29, 2011


২৬ জুলাই ২০১১

১৮) রিটার্ন ফ্লাইট (১)

তোর প্রোপোজালে আমি লঙ্গিটিউড গুলিয়ে ফেলে সময়হীন হয়ে বোকা আলুভাজা প্লেট জুড়ে ছড়ানো যেন আর পারছি না। সব রানওয়েই একরকম লাগে তাই দিক ভুল করে কোন দিকে উড়ে গেলাম ঘড়ির কাঁটা পেঁচিয়ে গেল। যে রাতে তুই আমাকে চেয়েছিলি সে দিনে আমার মেঘ করেছিল ঘরে নাহলে আমার ঠোঁটে তুলে নিতাম তোর চোখ।

১৯) রিটার্ন ফ্লাইট (২)

গন্ধে আমি চুল যেন শুনতে পাই তোমার ঘাড় বেয়ে। আমি জানি লম্বা লাইনে আমার সঙ্গে তুমি নেই তাও সামনে তোমার দেহ বারবার মনে করিয়ে দেয় ফিরে তাকানো আর হাসিতে যা ধরা পড়ে বাকি থাকা আমার সব কিছু বোতল বন্দী ব্যাগে রেখে দি টেবিলে চায়ের কাপ। তোমার গলার কাছে আমার অবাধ্য শব্দচারণ বারবার ঘ্রাণে মাদকতায় তোমার চামড়ার মসৃণে আমাকে আছড়ে ফেলে।

২০) রিটার্ন ফ্লাইট (৩)
মদ্যপান করিলেই পদ্যমান বৃদ্ধি পায় এমত ঘনিষ্ঠ বাক্য যুগাধিক মন্ত্রোচ্চারণে বিফল। তবে মস্তকে যিনি প্রিয়া তিনি বাস্তবে বাস-স্টপে যদি যুক্তাক্ষর ত্যাগে আগ্রহী তাহা হইলে কবি আবার মনুষ্য রূপ ধারণ করিবে।

২১) রিটার্ন ফ্লাইট (৪)
আঘাত দিলে আমিও পালটা আঘাত দিব। তুমি চাকা হইতে পারো। আমি বিনয় হইতে ইস্তফা দিলাম।


২২) রিটার্ন ফ্লাইট (৫)
আমার তোমাকে আরো ভালবাসতে ইচ্ছে করে কিন্তু আমাকে কেউ বলেছে চশমা পরা কোন নারীর প্রেমে পড়ো না, বিচ্ছেদে দুজনার কাঁচেই বাষ্প। 

অনুপম রায়

২১ জুলাই ২০১১


১৫) ফ্লাইট (১)
তুমি তো জানো আমার প্রায় প্রত্যেকটা অক্ষর তোমার জামার ভেতর এবং বাইরে তোমার প্রতিটা বোতামে আমার আঙুল আর চুমুকে তোমার বিকেলগুলো বেপরোয়া ভাবে কখনো হ্যালোজেনে কখনো টানগস্টেনের ফিলামেন্টে বিছানা জুড়ে অবাক হয়ে সিলিং দেখে নিঃশ্বাসে প্রতিনিঃশ্বাসে জড়িয়ে গিয়ে। উড়ো জাহাজের সীটে মহাশূন্যতায় আমি আবার কলম ধরলে আতলান্তিক বা বে অফ বেঙ্গল তুমিই বাঙালীর রবীন্দ্রনাথ আইল বেয়ে নির্ঘুম নেমে আসো।


১৬) ফ্লাইট (২)
হেডফোনে যে পাঞ্জাবী ছেলে মেয়ে দুটি ক্ষেতের মাঝে জীবনের হয়ত বা প্রথম প্রেমে পাগল হয়ে যাচ্ছে আমার তুই প্রথম নাহলেও শ্রেষ্ঠতম প্রেম সেটা নিয়ে কোন ঈশ্বরের কোন আপত্তিকর বক্তব্য নেই। দুদিন ধরে তোর বাক্য অসম্পূর্ণ নতুন নেলপলিশের সুগন্ধি কিন্তু চ্যাঁটচ্যাঁটে কিছুতেই বুঝতে দিচ্ছিস না তোর বুকের পশ্চিমে কোন ঝড় দানা বাঁধছে। তোর পিঠে আগামী এক বছরে আমি কোন বেণি দেখতে পাচ্ছি না। 


১৭) ফ্লাইট (৩)
কারা সব একে অপরের দিল ফিল চুরা লিয়া, তারাই আবার বাহার ফাহার হয়ে একাকার একে অন্যের জীবনে আসে। আমার জীবনে এরকম কিছু হয় না। নিজের বাহার নিজেই আনি ভুলে যেতে বসে তোর মুখখানি। তোকে ভালবাসতে লাগে অনেক বছর আর নষ্ট করতে কয়েকটা শব্দ। 

অনুপম রায়

Wednesday, July 20, 2011

২০ জুলাই ২০১১

১৪) ডানা 

আমাদের যাদের ডানা আছে তারা প্রতিটা আকাশে উড়তে চাইলেও কিন্তু মেলতে পারে না। কিছু আকাশ বড্ড ঘন ওজন লাগে ডানায় আর কিছু আকাশ ফর্সা হলেও কেমন যেন সন্ধ্যা নামার লাল। অনেক আকাশ স্থির হয় যেন দুঃখে ছেঁড়া বইএর মলাট। অন্য আকাশ দেয়ালীর রাত বিরক্তিকর আতসবাজি এত বেশী উড়তে গেলেও ক্লান্ত লাগে আওয়াজে আলোতে। মশা মৌমাছির মিনমিন ওড়া অসহ্য বোতলে ধরা আকাশের সব কম বাজেটের ছবি। আমার ডানা আমি গুটিয়ে রেখেছি, শহরের আকাশে বড্ড ধোঁয়া। 

অনুপম রায়

Monday, July 18, 2011

১৮ জুলাই ২০১১

১২) অসহযোগ

হে অসহযোগ। তুমি আমার বিপরীতে প্রতিবিম্বহীন হয়ে দাঁড়িয়ে কতকাল। তুমি ধোঁয়া ওঠা চিমনি চোখে আমায় গৃহস্থের অগ্নিসংযোগে পুরষ্কৃত করবে আরো রান্নায় আরো মশলায়। তুমি আমার পালকে কেরোসিন আর ঘেরাও করলে প্রতিদিন কত তুলো তুলো। সংক্ষেপে বলি তুমি হয়ত বিপদে ফেলতে চাওনি কিন্তু হে অসহযোগ আমি আহত, আমাকে এইখানে ফেলে রেখে যাও।

১৩) এক দিক শীত

আমার এক দিকে শীত আর অন্যদিক বলে কিছু নেই। যে দিকে শীত আর ঘ্যানঘ্যান বরফের কাছে মাছিডানাও জমে গেছে খসে পড়তে গিয়ে সাস্পেন্ডেড হয়ে থাকে। গ্র্যাভিটি আমায় ফাঁকি দেয় তাই লোহা বাঁধা জুতো। আমি এক দিকে ঋতুচক্রের সংজ্ঞা ভুলেছি শুধু মোনোপলি স্থায়ী রূপে সাদা দিনরাত। এক দিকে আমি ক্লান্ত হয়ে রোমকূপে কিছু খুচরো কুচি। বিরক্ত যেন রক্তের মতো জমাট বেঁধেছে এই মাসে, এক দিকে।

অনুপম রায়

Wednesday, July 13, 2011

১৩ জুলাই ২০১১

১০) সেই এক

আমি কাউকে চাই না। আমার ভেতরে ভাবতে ভালো লাগে কাউকে কোনদিন ঘর বাঁধতে দিই নি। তুমি যেমন রেখে গেছিলে দরজা খুললে সমুদ্র এখনো তেমন নোনতা সূর্য কামড়ে খায় আমাকে দুপুরের বিস্কুট। তুমি ছাড়া কেউ বুঝবে না আমি কতটা মাতাল আর কেন দুল জোড়া খুলে রাখা হয় প্রতি মাসে প্রতি পরিচয়ে প্রতিটা আঙুলে। এক আলমারি শব্দ আমি তোমার শীতঘুমে উপহার আর তখন তুমি যাক গে ... এগুলো আমি ইচ্ছে করেই বালিশ চিনি না। ঘুম ভেঙে আমি তোমাকে খুঁজতে চাই না তাই তোমার ঘুমে থাকব আমি, আমার ঘুমে তুমি নাও থাকতে পারো।

১১) কদম

কদম গাছের নিচে আরো নিচে আমার চটির নিচে কদম। আমি গন্ধে পাই চায়ের দোকানে এফ এম দুধ ফোটানো। কোন চিন্তার ক্যারিয়ার কি সেটা যদি আমরা বুঝতে পারতাম তাহলে আক্সিডেন্টে আমরা বাইপাস খুঁজে নিতাম। সেই একরাশ গোলাকার কদমে আমার তুষার পাতের রাতে তোমার আনাগোনা আর শীত বর্ষা সব এক-ই রকম জানলার এপাশ থেকে তাই তোমাকে দেখি হাজার হাজার গাছের নিচে আমার জানলার নিচে ক্রমাগত ক্লকওয়াইজ পাক খাচ্ছ আমার পাতার আড়ালে। আমরা এগিয়ে যাই কদমে কলমে তোমার ঘূর্ণিতে আমিও গোলাকার।

অনুপম রায়

Tuesday, July 12, 2011

১২ জুলাই ২০১১
৮) ফ্র্যাকশন
আমি ফ্র্যাকশান হয়ে যাই, ক্ষয়ে যাই, ডেসিমালে ফোঁটা দেয় আর খোঁটা দেয় বেড়ালের শ। রিয়্যাকশনে রিফ্লেক্স শব্দকোষে স্বপ্নদোষে মেটাফরে ছেলেটা। আমাদের কিছু হবে না। আমরা সবাই রিয়্যাকশনারি। কোন শব্দের বিকল্প হয় না। যেটা হয় সেটা স্বতন্ত্র কবিতা। তাই আমার প্রতিটা ফ্র্যাকশান-ই অন্য। তবু আমি কিছুতেই ইর‍্যাশনল হতে পারি না কারণ ডেসিমালের পর আমি ফিরে ফিরে আসি। আমি ধরা পড়ে যাই। সাক্ষীরা পয়সা পায় আসামীরা কিন্তু পায় না।

৯) রুল অফ থ্রী
পাথর ভাঙলে ভাঙো। হাতুড়ি তোমার বিছানার কাছে তখন রেখেছি। উঁচু হয়ে সেই গশিয়ানে ঢিপি পাথর আর তুমি পাথর ভাঙার শিল্পী। তোমার প্রথম খন্ডে আমি বেপরোয়া শুধু ফসকেছে হাত। দূর থেকে শুধু দেখেছি তোমায় পাথর ভেঙেছ অক্লান্তিতে। পরের খন্ডে তুমি বিশ্রামে আর আমি চোখমুখে বুঝতে পারি নি। তৃতীয় খন্ডে পাথরের স্তূপে আমার এখনো সময় হয়নি।
অনুপম রায়

Tuesday, July 05, 2011

৫ জুলাই ২০১১

৭) দিনের শেষে

মানুষ নিজেকে ছেড়ে বেরোতে পারে না। তাই নিজের মত নাক বা কান দেখতে পেলে গিঁট বাঁধে। ইকুয়ালি নন মিউজিকাল কিছু ঠোঙা হাত বদলে চোয়ালে বোভাইন। কোন প্রোগ্রেশন নেই, এগিয়ে যাওয়া নেই, খালি লাট্টুর মত পাক খেতে খেতে ঘড়ির কাঁটার মত একই মুখ মুছে যাওয়া। নিজের বয়সের গন্ধ পেতেও মানুষ প্যাভলভের কুকুর। আবার এক-ই জেনারেশানের এক-ই আঠা চিবিয়ে চিবিয়ে ঘন হয় দু চোখের লাল। আবার সেই সেলোফেনে ঢাকা খুব নিরাপদ এক গতিহীন। এভাবেই মানুষ কেউ কাউকে ক্রস করে না রাস্তার মত। সবাই এপারে নয় ওপারে। যিনি মাঝখানে আছেন আমি তাঁর সাথে কথা বলতে চাই।

অনুপম রায়